বিবরণ
লন্ডন, ১৮৮৮। বিশ্বজোড়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রাজধানী সেই শহরের বৈভব তুলনাহীন। কিন্তু প্রদীপের নীচেই থাকে অন্ধকার। হোয়াইটচ্যাপেল ও স্পিট্যালফিল্ডের দারিদ্র্যলাঞ্ছিত অন্ধকার ছিল তারই প্রমাণ- যেখানে অপরাধ, নারী ও শিশুদের নির্যাতন এবং দেহব্যবসা ছিল নিতান্তই স্বাভাবিক ঘটনা। সেখানেই হঠাৎ শুরু হল এক অন্যরকম হত্যালীলা। খুনির শিকার হত হতভাগিনী দেহপসারিণিরা। তাদের দেহকে ছিন্নভিন্ন করে কুয়াশায় মিলিয়ে যেত অপরাধী। কে সে?
পোড়-খাওয়া পুলিশবাহিনী নাস্তানাবুদ হল। শৌখিন ও পেশাদার অনুসন্ধানকারীরা পাগল হয়ে গেলেন সেই হত্যাকারীর পরিচয় জানতে। সংবাদপত্রের দফতরগুলো ভেসে গেল চিঠি, অযাচিত উপদেশ, গালাগাল এবং দাবিতে। তাদেরই মধ্যে এল একটা অদ্ভুত কবিতা~
কসাই নইকো আমি, ইহুদিও নই, নই সোহো-চেলসির কোনো কাপ্তেন। রসিক বন্ধু আমি খাস আপনার; নাম জ্যাক দ্য রিপার; প্রণাম নেবেন।
খুনি একটা নাম পেল- যা কালের দুস্তর পারাবার পেরিয়ে এখনও আমাদের কাঁপিয়ে দেয়। কিন্তু কে ছিল সে?
এই নিয়ে লেখা হয়েছে অসংখ্য বই, হয়েছে সিনেমা থেকে ওয়েব-সিরিজ। তবে বাংলায়? নাহ্, এই খুনির আসল পরিচয় জানার কোনো চেষ্টা বাংলায় হয়নি এতদিন।
এবার হল। যে বইটা আপনি ধরে আছেন, সেটির লক্ষ্য ওই খুনির পরিচয় উদ্ঘাটন- সেও একেবারে সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে।