বিবরণ
একটি সুপরিচিত নাম। জীবনের প্রথম ছোটোগল্প ‘একটু জীবনের বর্ণনা’ প্রকাশ পেয়েছিল ‘দেশ’ পত্রিকায়। প্রথম গল্পেই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিলেন সেই তরুণ লেখক। নড়ে চড়ে বসেছিল বাংলার পাঠক মহল। ভরসা করতে শুরু করেছিল সেই নবীন কলমের প্রতি। বিনোদ তাদের নিরাশ করেননি। একের পর এক ছোটোগল্পে চমকে উঠেছে পাঠক, মুগ্ধ হয়েছে তার ভাবনায়, গদ্যশৈলীতে, চরিত্রনির্মাণে। বিনোদের গদ্য অতি সহজ। পড়তে শুরু করলে কোথাও হোঁচট খেতে হয় না, জটিল শব্দ কিংবা তত্ত্বের মানে বোঝার জন্য অভিধান নামাতে হয় না, মাথা চুলকোতে হয় না। কিন্তু ওই সহজ ভাষার আড়ালে লেখক এঁকে চলেন অতি জটিল মনস্তত্ত্বের নানা রূপ। কঠোর বাস্তবধর্মী হোক কিংবা ফ্যান্টাসি, সবরকম ছোটোগল্পেই বিনোদের অনায়াস যাতায়াত। সমাজের, বিশেষত প্রান্তিক মানুষের জীবনকে নিয়ে বিনোদের লেখা এক একটি ছোটোগল্প পড়ে চমকে উঠতে হয়। বিনোদকে তাঁর পাঠকরা ডার্ক স্টোরি রাইটার আখ্যা দিয়েছেন কারণ তাঁর গল্পে অন্ধকার থাকে বেশি। যদিও বিনোদের নিজের কথায়, আলোকে দুইভাবে চেনানো যায়। প্রথমত, সরাসরি আলো দেখিয়ে, দ্বিতীয়ত, অন্ধকারের সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে। অন্ধকারকে চিনতে পারলে মানুষ তার নিজের আলো নিজেই খুঁজে নেবেন এটাই বিশ্বাস করেন বিনোদ। তাই তিনি অন্ধকারের কথা বলার ছলে আসলে আলোর কথাই বলেন, বলে চলেছেন। এই বইয়ের গল্পগুলিতে যেমন অন্ধকার রয়েছে, তেমনই রয়েছে আলোর খেলা। আলো-অন্ধকারের এই জাফরিকাটা অলিন্দে পাঠকের ঘুরে বেড়ানো বৃথা যাবে না তা জোর গলায় বলা যায়। আর হ্যাঁ, এই বইয়ে সংকলিত গল্পগুলি লেখকের অন্য কোনো গল্পের বইয়ে নেই। আসুন, প্রবেশ করা যাক বিনোদের ছোটোগল্পের আশ্চর্য জগতে।আধুনিক বাংলা সাহিত্যে বিনোদ ঘোষাল
একটি সুপরিচিত নাম। জীবনের প্রথম ছোটোগল্প ‘একটু জীবনের বর্ণনা’ প্রকাশ পেয়েছিল ‘দেশ’ পত্রিকায়। প্রথম গল্পেই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিলেন সেই তরুণ লেখক। নড়ে চড়ে বসেছিল বাংলার পাঠক মহল। ভরসা করতে শুরু করেছিল সেই নবীন কলমের প্রতি। বিনোদ তাদের নিরাশ করেননি। একের পর এক ছোটোগল্পে চমকে উঠেছে পাঠক, মুগ্ধ হয়েছে তার ভাবনায়, গদ্যশৈলীতে, চরিত্রনির্মাণে। বিনোদের গদ্য অতি সহজ। পড়তে শুরু করলে কোথাও হোঁচট খেতে হয় না, জটিল শব্দ কিংবা তত্ত্বের মানে বোঝার জন্য অভিধান নামাতে হয় না, মাথা চুলকোতে হয় না। কিন্তু ওই সহজ ভাষার আড়ালে লেখক এঁকে চলেন অতি জটিল মনস্তত্ত্বের নানা রূপ। কঠোর বাস্তবধর্মী হোক কিংবা ফ্যান্টাসি, সবরকম ছোটোগল্পেই বিনোদের অনায়াস যাতায়াত। সমাজের, বিশেষত প্রান্তিক মানুষের জীবনকে নিয়ে বিনোদের লেখা এক একটি ছোটোগল্প পড়ে চমকে উঠতে হয়। বিনোদকে তাঁর পাঠকরা ডার্ক স্টোরি রাইটার আখ্যা দিয়েছেন কারণ তাঁর গল্পে অন্ধকার থাকে বেশি। যদিও বিনোদের নিজের কথায়, আলোকে দুইভাবে চেনানো যায়। প্রথমত, সরাসরি আলো দেখিয়ে, দ্বিতীয়ত, অন্ধকারের সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে। অন্ধকারকে চিনতে পারলে মানুষ তার নিজের আলো নিজেই খুঁজে নেবেন এটাই বিশ্বাস করেন বিনোদ। তাই তিনি অন্ধকারের কথা বলার ছলে আসলে আলোর কথাই বলেন, বলে চলেছেন। এই বইয়ের গল্পগুলিতে যেমন অন্ধকার রয়েছে, তেমনই রয়েছে আলোর খেলা। আলো-অন্ধকারের এই জাফরিকাটা অলিন্দে পাঠকের ঘুরে বেড়ানো বৃথা যাবে না তা জোর গলায় বলা যায়। আর হ্যাঁ, এই বইয়ে সংকলিত গল্পগুলি লেখকের অন্য কোনো গল্পের বইয়ে নেই। আসুন, প্রবেশ করা যাক বিনোদের ছোটোগল্পের আশ্চর্য জগতে।