নৈহাটির কাঁঠালপাড়ার বাসিন্দা সান্দীপনি ভট্টাচার্য বেশি পরিচিত দীপান ভট্টাচার্য নামে। জন্ম ১৯৭১ সালে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর। কর্মজীবনে কাজের প্রয়োজনে শিখেছেন রুশ ভাষা। ভারত সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিলেন, স্বেচ্ছাবসর নিয়ে এখন এক কর্পোরেট সংস্থার গ্রুপ ডিরেক্টর। পেশার বাইরে শখ হল প্রত্নতত্ত্ব, বিশেষ করে সিন্ধু সভ্যতা। গ্রন্থনির্ভর শখের ইতিহাসচর্চা নয়, ভালোবাসেন হাতেকলমে কাজ। সময় পেলেই ছুটে যান গ্রামে, জঙ্গলে, মাঠে পড়ে থাকা ধ্বংসস্তূপে যা ধীরে ধীরে বিলীন হবার পথে। নিজে তার থেকে প্রত্ন সন্ধান করে বাঁচাতে চেষ্টা করেন, গবেষণার জন্যে দান করেন, মানুষদের বোঝান ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়ে। নিজেকে প্রশ্নযোদ্ধা হিসেবে ভাবেন। বহুদিন বাংলার বাইরে কাটালেও মনেপ্রাণে তিনি বাঙালি। সম্মানিত হয়েছেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের 'রাখালদাস স্মৃতি পদক', 'রাখালদাস ননী গোপাল মজুমদার স্মৃতি স্মারক সম্মাননা পুরস্কার', সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার-এর 'বিশেষ প্রশংসা', 'প্রতযোদ্ধা' নেতার দ্বারা। তরি অন্যান্য বইগুলি হল, সিন্ধু সভ্যতার অগ্নিপূজা ও বৈদিক যজ্ঞ একটি তুলনামূলক আলোচনা, অর্থ ফসিল উবাচ, ননী গোপাল মজুমদার। স্মৃতি চিত্রণে স্মরণ শ্রদ্ধার্থ (সম্পাদিত)