বিবরণ
ভারতে প্রথম ফসিল নিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবনা শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ সময়কালে।
কিংবদন্তীর পিছু নিয়ে ফসিল উদ্ধার এবং সেই সংক্রান্ত উদ্যোগের প্রচেষ্টা লিপিবদ্ধ হয়ে আছে বিভিন্ন জায়গায়।
এই বইতে বাংলায় প্রথম সেই উদ্যোগের এক ধারাবিবরনী দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে ফসিলকে নিয়ে যেসব গল্প, আখ্যান প্রচলিত আছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনাও আছে এই বইতে। কিছু দরকারী প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে, যেমন ড্রাগনের ধারণা কি ডাইনোসরের ফসিল দেখে এসেছে? গঙ্গার বাহন মকর কি প্রাগৈতিহাসিক জীব? দৈত্যাকার কূর্ম অবতারের চিন্তা কি ফসিল থেকে পাওয়া? ইত্যাদি।
‘অথ ফসিল উবাচ’ বইয়ের দুটি পর্ব ফসিল শিকারির ডায়েরি ও ফসিল পুরাণ। প্রথম পর্বে ফসিল উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া থেকে ফসিলের সন্ধান কোথায় পাওয়া যায় যেমন আলোচনা করা হয়েছে তেমনই এক সত্যিকারের ফসিল শিকারি হিসেবে লেখক তার অভিজ্ঞতার গল্প বলেছেন আর ফসিল সংগ্রহের বিভিন্ন দিক শিখিয়েছেন যাতে পাঠক এই দারুণ রোমাঞ্চকর শখ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হন। লেখকের অভিযানের গল্পের সঙ্গে মিশে গেছে স্থানীয় ইতিহাস এবং পৃথিবীর বিবর্তনের কাহিনী। দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ ফসিলপুরাণে রয়েছে প্রাচীন সভ্যতা ও ভারতের জনজাতির চোখে দেখা ফসিল। প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ ফসিলকে দেখে এসেছে এবং তার মতো করে ফসিলের ব্যখ্যা করেছে। এর আভাস রয়ে গেছে বিভিন্ন কিংবদন্তী, রূপকথা, উপকথা ও স্থান নামে। এই বইতে সেই সব বিষয় নিয়ে রয়েছে আলোচনা। শাস্ত্র গ্রন্থেও ফসিলের উপস্থিতি রয়েছে বিষ্ণুর প্রতিভূ শালগ্রাম শিলা ও দ্বারকা শিলা উভয়েই ফসিল। এখানে এগুলির লক্ষণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে ও সহজে শালগ্রাম শিলা চেনার জন্য একটি সারণী প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে।